দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী টুডে ডট কম: অষ্টমী পূজার দিনে রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন দুর্গাপূজা মন্দির পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম।
এর অংশ হিসেবে সন্ধ্যার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলামসহ বালিয়াকান্দির জামালপুরে জেলার ব্যতিক্রমধর্মী মন্দির পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার। পরিদর্শনের সময় তিনি বাঁশ দিয়ে নির্মিত এই ব্যতিক্রমী এই মন্দিরের নিরাপত্তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
এসপি বলেন, যেহেতু মন্দির টি সম্পূূর্ণ বাঁশ দিয়ে নির্মিত তাই এর ধারণ ক্ষমতা কেমন এটা জানার জন্য তিনি এখানে এসেছেন।
এসময় পুলিশ সুপার বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইন-চার্জকে বলেন, ‘নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশিগুরুত্ব দিবেন।’ নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের কঠোর ভুমিকা পালনেরনির্দেশ দেন রাজবাড়ী জেলা পুলিশ প্রধান। তিনি বলেন, মন্দিরে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি দর্শনার্থী যেনো একসাথে উঠতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভবিষৎতের কথা মাথায় রেখে তিনি গ্রাম জামালপুর মন্দির কমিটিকে বলেন, ‘যেহেতু প্রতি বছর এখানে বড় পরিসরে পূজা করে থাকেন সেক্ষেত্রে বাঁশের পরিবর্তে কনক্রিট দিয়ে মন্দির নির্মাণের বিষয়টি মাথায় রাখবেন।’
রাজবাড়ী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, নির্মানের শুরু থেকে এই মন্দিরের খোঁজ রাখছে পুলিশ। নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি পুলিশ সহ সেচ্ছাসেবীদদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, কেউ যেন কোন গুজব সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পুলিশ সুপারের প্রসংশা করে গ্রাম জামালপুর মন্দিরের সাধারন সম্পাদক বলেন, দেশে জঙ্গিবাদের মধ্যে তিনি রাজবাড়ীতে যে ভুমিকা রাখছেন সেটা চিরস্মরনীয়। তিনি আরো বলেন,এখানে প্রায় তিন-চার লক্ষ লোক হয়, যার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন ব্যাপার। কিন্তু সেটা পুলিশ সুপার সঠিকভাবে করে যাচ্ছেন।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের বিশেষ নজরদারির মধ্যে গ্রাম জামালপুরের এই ব্যাতিক্রমধর্মী মন্দিরে ১২ জন পুলিশ এবং ৪৫ জন আনছার ও ভিডিপির সদস্য সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।