খন্দকার রবিউল ইসলাম, রাজবাড়ী টুডে: রাজবাড়ী সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলজের ছাত্র রায়হান হিরার বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানি মূলক অপহরাণ মামলার প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানব-নব্ধন করেছে এলাকাবাসী।
৮জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজবাড়ী প্রেস ক্লাবের এলকাবাসী আয়োজিত মানব-বন্ধন কর্মসূচীতে হিরার বাবা আবুল কালাম আজাদ, বড় বোন জানাতুল ফেরদৌস কাজল, সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলজের ছাত্র ছাত্রী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহন করে।
মানব-বন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর একটি স্বারক লিপি প্রদান করেন করা হয়।
লিখিত স্বারক লিপিতে উল্লেখ্য করেন বিগত ১বছর যাবত উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ১০মে এক সাথে ছেলে মেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। ছেলে রায়হান হিরা-বিথী সুলতানা দুজনেই ফরিদপুর নোটারী পাবলিক এর কার্যালয় এফিটডেবিট করে বিবাহ করে জাহার রেজিং নং ৭৩৩ তাং ১১/০৫/২০১৭ ইং। এর পর ছেলে মেয়ে এক সাথে ঘড় ভারা করে ফরিদুপর বাইতুল আমান এলাকায় ২৩দিন ঘরসংসার করে। এবং ৩/০৬/২০১৭ ইং তারিখ এ মেয়ের বাবা হাবিবুর রহমান ফরিদপুর থানার পুলিশ ও র্যাব সাথে করে নিয়ে মেয়ে ও ছেলেকে বাসা থেকে আটক করে। এবং মেয়ে বাবা তিনি মেয়েকে সাথে নিয়ে যায়। এবং হিরার বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করে। মামলা নং ২৩৭/১৭।
বর্তমানে রায়হান হিরা রাজবাড়ী জেল হাজতে আছে। আমারা এলাকাবাসী এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করলাম।
উল্লেখ্য র্যাব ফরিদপুর একটি প্রেস রিলিজ এর মাধ্যমে জানায় গত ৩ জুন শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ফরিদপুর শহরের বায়তুল আমান এলাকা থেকে অপহরণ হওয়া কিশরীকে উদ্ধার এবং রায়হান হীরা (২১) নামে এক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
অপর দিকে হিরার গ্রেফতারের খবর ছরিয়ে পরলে রায়হান হীরার একাধিক বন্ধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, মেয়েটির সাথে রায়হানের সম্পর্ক ছিলো। ভালোবাসার টানেই দুজনে স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছিল। মেয়ের বাবা পুলিশ কর্মকর্তা বলেই প্রভাব খাটিয়ে অপহরণের মামলা করেছেন।