দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী টুডে: রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের জামালপুর বাজার কালী মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত নিজ বাড়ীতে হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে এক পর্যায় কেঁদে ফেলেন অমিত কুমার সাহা।
২৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকালে জামালপুর বাজার বণিক সমিতি আয়োজিত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অমির সাহার উপর অপ্রিতিকর ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভায় অমিত কুমার সাহা জানান, ‘আমার সব থাকা সত্বেও আমি আমারপরিবারকে রক্ষা করেত পারি নাই।’
তিনি বলেন, ‘১৫ এপ্রিল (শনিবার) আমাদের গোডাউনে ৮ বস্তা মসুরী দিয়ে ১২ বস্তার দাম নেয় জামালপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ব্যবসায়ী হাপিজুল বিশ্বাস। প্রতিদিনে ন্যায় আমর দাদা বিদুল কুমার সাহা বিভিন্নপ্রতিষ্ঠানে ব্যাবসা সংক্রান্ত কাজ শেষ করে ঐদিন সন্ধ্যায় সিসি টিভির ফুটেজে বিষয়টি দেখতে পায়। সেদিন রাতে হাপিজুলকে ডেকে বিষয়টির ব্যাপারে জানতে চাইলেতিনি বলেন আমি ১২ বস্তা মসুরী গোডাউনে রেখেছি। পরে তার সাথে আসা সঙ্গীরা সিসি টিভির বিষয়টি হাপিজুলকে বোঝালে এক পর্যায় বিষয়টি মেনে নেয়হাপিজুল বিশ্বাস। জামালপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মজিবর রহমানবিশ্বাস বলেন তারা ২৩ এপ্রিল (রবিবার) সমাধানের দিন ধার্য করে দুই পক্ষকেবিষয়টি নিয়ে কোন প্রকার ঝামেলায় না জারানোর অনুরোধ করেন ব্যবসায়ীনেত্রীবৃন্দরা। গত ২২ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ৯.৩০ মিনিটের দিকে হাপিজুলবিশ্বাস, নেওয়াজ বিশ্বাস, নাছিরুল বিশ্বাস, জাহিদুল বিশ্বাস, জিয়া বিশ্বাস,জাকির বিশ্বাস সহ ১৫-২০ জন সন্ত্রাসীরা জামালপুর বাজারের অমিত কুমার সাহারবাড়ীর গেটের কলিং বেল বাজালে মেয়ে গেট খুলতেই বাড়ীর ভিতর ঢুকে হামলা চালায়সন্ত্রাসীরা। বিদুল কুমার সাহা বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করলেপুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করলে কোর্টে প্রেরন করলে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসে। জামিনে এসেই বিভিন্ন মহল মাধ্যম হুমকি প্রদান করে ব্যবসায়ী অমিতসাহার পরিবারের উপর। অমিত সাহা জীবন রক্ষায় আবার আদালতের সরনাপন্ন হয়।
জামালপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান বাবুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইফুল বিন খালেক,এমদাদুল হক শামীম, জঙ্গল ইউনিয়নের সভাপতি নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, জামালপুরইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী সরদার, জামালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানএ কে এম ফরিদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সামছুল আলমসুফি, সভাপতি আব্দুল হান্নান মোল্যা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ওবালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ।উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, এই সব নামধারী আওয়ামী লীগের জন্য আমাদের বদনাম হচ্ছে। এরা নিজেদের অনেক বড় নেতা মনে করে। তিনি আরো বলেন প্রতিবাদ সভা হয় শক্তিশালী
নেতাদের বিরুদ্ধে। এই প্রতিবাদ সভা একটি ভুল সিধান্ত। এদের শাস্তি পেতে হবে এবংদৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেখাতে। তিনি স্থানীয় ৫ জন নেতাকে বিষয়টি নিয়ে সমাধানেরলক্ষ্যে কাজ করতে বলেন। নাম প্রকাশ না করার স্বর্তে জামালপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, হামালাকারীদেরইন্দনদাতা খুঁতে বের করতে না পারলে এমন ঘটনার মুখোমুখি অনেকেরই হতে হবে।