খন্দকার রবিউল ইসলাম, রাজবাড়ী টুডে: রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় বড় ভায়রা আলম প্রামাণিককে (৩৫) শ্বাসরোধে হত্যা করেছে ছোট ভায়রা করিম খাঁ (৩০)।
২ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার যশাই ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হত্যার পর আলমের লাশ মাটিতে পুতে রাখে ঘাতক করিম। পরে শনিবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাটি থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আলম প্রামাণিক পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল প্রামাণিকের ছেলে এবং ঘাতক করিম খাঁ একই ইউনিয়নের চর ঝিকুরি গ্রামের মৃত জামাল খাঁর ছেলে।
তারা দু’জন যশাই ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের আমজেদ খাঁনের দুই মেয়ের জামাই।
যশাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান জানান, শ্বশুর আমজেদ খানের সঙ্গে বড় জামাতা আলমের সু-সম্পর্ক ছিল। তিনি যে কোনো কাজ করার সময় বড় জামাতার পরামর্শ নিতেন। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি ছোট জামাতা করিম। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাতে আলম বাইসাইকেলে করে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজবাড়ি চরপাড়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। উদয়পুর হাইস্কুলের কাছে গেলে করিম তার সহযোগী হারুনকে নিয়ে আলমের গলায় গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ স্কুল মাঠের পাশেই মাটিতে পুঁতে রাখেন।
শুক্রবার (৩ মার্চ) রাত ৮দিকে ঘাতক করিমের সহযোগী হারুন এ বিষয়ে অনুতপ্ত হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য দরুদ মেম্বারকে জানান। পরে তিনি থানায় খবর দিলে রাতেই পুলিশ ঘাতক করিম ও তার সহযোগী হারুনকে আটক করে।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোফাজ্জেল হোসেন জানান, ঘাতক করিম ও তার সহযোগী হারুন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তারা তাদের দোষ স্বীকার করেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মাটি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।