আল-আমিন ঃ রাজবাড়ী সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত আপন ২ বোন ইভটিজারদের হাতে লাঞ্চিতের দুই দিন পরে ইভটিজিং নিমূল, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী মত বিনিময় সভা করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজবাড়ী সরকারি কলেজ একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
সভায় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ জয়নাল আবেদিন এর সভাপতিত্বে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম,অতিরিক্ত পুরিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আজাদ রহমান,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার মিয়া,উপাধ্যক্ষ প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান দীলিপ কুমার কর,ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সরোয়ার মোর্শেদ খান স্বপন ।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,ইতিহাস মাস্টার্স এর ছাত্র আব্দুল আলিম,গণিত বিভাগের ছাত্রী আনিকা।
বক্তরা বলেন,কলেজে যে ইভটিজিং এর ঘটনাটি ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত।ইভটিজিং বা কোন প্রকারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে না জড়িয়ে মন দিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাবার আহব্বান জানানো হয়।সাথে সাথে যে কোন ধরনের অপ্রিতীকর ঘটনা পুলিশ বা শিক্ষকদের কে জানাতে বলা হয়।শিক্ষার্থীরা সব সময়ে তাদের অভিবাবকদের সম্মানের কথা ভাববে।কোন প্রকারের জঙ্গীবাদের সাথে সম্পৃক্ত হবে না।
উল্লেখ্য,গত সোমবার ৯ জানুয়ারী রাজবাড়ীতে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় কলেজ পড়–য়া আপন দুই বোনকে প্রকাশ্যে লাঞ্চিত করেছে বখাটেরা।রাজবাড়ী সরকারী কলেজ এর সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্চিতের শিকার দুই বোন রাজবাড়ী সরকারী কলেজের ছাত্রী।লাঞ্চিতের শিকার দুই বোন হলো-রাজবাড়ী জেলা সদরের বরাট ইউনিয়নের মোঃ ফকরুজ্জামানের মেয়ে রাজবাড়ী সরকারী কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ছাত্রী মুক্তা খাতুন (২১) ও একই কলেজের এইচ,এস,সি’র প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্রী শান্তনা খাতুন(১৮)।
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার মিয়া জানান,ইভটিজিং এর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।পুলিশের জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।