খন্দকার রবিউল ইসলাম, রাজবাড়ী টুডে: আগামী ২৮ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের নির্বাচন। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদ প্রার্থী ১৫ জনের নাম ঘোষণা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে নির্বাচনের রিটানিং কর্মমকর্তা ও রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক জিনাত আরার কাছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাথী বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজবাড়ী কলেজের সাবেক V P ফকির আব্দুল জব্বার মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, পৌর মেয়র মহম্সমদ আলী চৌধুরী,পৌর আ:লীগের সভাপতি পিপি উজির আলী সেখ, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি সহ সহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহোযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ১ ডিসেম্বর। ৩ ও ৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ধার্য করা হয়েছে ১১ ডিসেম্বর। এছাড়া নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ ১২ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
পার্বত্য তিন জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলার এ ভোটে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা রিটার্নিং অফিসার এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
আইন অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন।
জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর/সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর/সদস্য জেলা পরিষদের নির্বাচকমন্ডলীর সদস্যরা ভোটার হবেন। তবে তারা কেউ নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারবেন না। আইনের ১৭ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও সকল কমিশনার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার চেয়ারম্যান ও সব কমিশনার এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সব সদস্যের সমন্বয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচকমন্ড লী গঠিত হবে।’
জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের ভোটাধিকার থাকবে না। আইনে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচকমন্ডলীর সদস্য না হলে কোনো ব্যক্তি ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্য হবেন না। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের সদস্য বা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা সদস্য হলে তিনি প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন।
বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক ও এমপিরা কেউ নির্বাচন করতে চাইলে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। স্থানীয় সরকারের চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৭ হাজার নির্বাচিত প্রতিনিধি এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদে। দেশে বর্তমানে চার হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটিতে গড়ে ১৩ জন করে প্রায় ৬০ হাজারের মতো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। একইভাবে ৪৮৮টি উপজেলা পরিষদে প্রায় দেড় হাজার, ৩২০টি পৌরসভায় সাড়ে ৫ হাজার এবং ১১টি সিটি করপোরেশনে প্রায় সাড়ে ৫০০ নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন।