ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন রাজবাড়ীতে মাদকদ্রব্যর অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ও আলোচনা সভা রাজবাড়ীতে ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মোজাম্মেল আটক রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প (ফেইজ-২) বাস্তবায়ন বিষয়ক সাধারণ সমন্বয় সভা সন্ধ্যার মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে হবে-প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী রামকান্তপুর ইউনিয়ন ও পৌর নবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোহেল রানা। ঈদুল ফিতর’ উপলক্ষে চন্দনী ইউনিয়বাসীর সুস্বাস্থ্য, সুখ-সমৃদ্ধি ও অনাবিল আনন্দ কামনা করে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-শাহিনুর পৌরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা মীর সজল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকেঈদের শুভেচ্ছা কাজী ইরাদত আলীর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ

গোয়ালন্দে ইলিশ ধরা ও বিক্রির কৌশল পরিবর্তন

মেহেদুল হাসান আক্কাছ, রাজবাড়ী টুডে ডট কম: সারা দেশে ১২অক্টোবর থেকে ২নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকার,পরিবহন, বাজারজাত করণ সহ সকল কর্যক্রমের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের জেলেরা সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা মানছে না।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সংশিষ্ট প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের মদদে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে সু-কৌশলে জেলেরা ইলিশ শিকার সহ সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ডিম ওয়ালা মা ইলিশ ও জাটকা সহ বিভিন্ন ধরনের ইলিশে এক শ্রেনীর প্রভাবশালীদের ফ্রীজ ভর্তি হচ্ছে। জেলেরা কম দামে তাদের বাড়ীতে ইলিশ মাছ পৌছে দিচ্ছে। মাঝে মাঝে কাউকে কাউকে জরিমানা ও জেল দিলেও উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে অধিকাংশ ইলিশ শিকারীদের।

আগে ইলিশ ক্রেতারা বাজারে যেত ইলিশ কিনতে আর এখন মোবাইলে যোগাযোগ করে প্রতি কেজি বড় ইলিশ ২-৩শ টাকায় ক্রেতাদের বাড়ীতে পৌছে দেয়। ভোর বেলায় যেখানে সেখানে হেটে হেটে বিক্রি করা হয় ইলিশ। জানা গেছে, দালালের মাধ্যমে প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা কর্তা বাবুরা প্রতি জেলের নৌকা থেকে দুই থেকে তিন হাজার টাকা নেয়। বিনিময়ে জেলেদের নির্বিগ্নে ইলিশ ধরার কৌশল শিখিয়ে দেওয়া হয়। টাকা জমা দেওয়া জেলের নৌকায় নির্ধারিত সংকেত চিহ্ন দেওয়া থাকে।

অভিযানের সময় তাদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আবার মোবাইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয় অভিযানের অগ্রীম বার্তারা। যারা টাকা দেয় না দালালরা তাদের সুকৌশলে ধরিয়ে দিয়ে অভিযান স্বার্থক করে।

জানা যায়, দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকার মজি মন্ডল স্প্রীটবোট চালক নুরুন নবী ও উপজেলা মৎস্য অফিসের একজন কর্মকর্তা বিভিন্ন এলাকার জেলেদের এই অপকর্মে সহযোগিতা করেন। এরা দৌলতদিয়া ঘাট নৌ-পুলিশ ফাড়ি ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও উপজেলা মৎস্য অফিসের ম্যানেজের দায়িত্ব পালন করেন।

এ ব্যাপারে দেবগ্রাম ইউপি চেয়াম্যান আতর আলী সরদার আক্ষেপ করে বলেন, প্রতিদিন পদ্মা নদী থেকে কমপক্ষে দুইশ মন ইলিশ ধরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে করনেশন, অন্তর মোড় সহ পদ্মা নদীর বিভিন্ন এলাকায় নৌকা প্রতি দুই থেকে তিনশ টাকার বিনিময়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইলিশ ধরে। পুলিশ তাদের আটক করে না।

তিনি আরও বলেন, আমি ওসি সাহেবকে ফোনে জানালেও কোন ফল হয়নি। এ থেকেই বোঝা যায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উপজেলায় ইলিশ ধারা ও বিক্রির কৌশল পরিবর্তন।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

Meraj Gazi

জনপ্রিয় পোস্ট

রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন

গোয়ালন্দে ইলিশ ধরা ও বিক্রির কৌশল পরিবর্তন

আপডেটের সময় : ০৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৬

মেহেদুল হাসান আক্কাছ, রাজবাড়ী টুডে ডট কম: সারা দেশে ১২অক্টোবর থেকে ২নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকার,পরিবহন, বাজারজাত করণ সহ সকল কর্যক্রমের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের জেলেরা সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা মানছে না।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সংশিষ্ট প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের মদদে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে সু-কৌশলে জেলেরা ইলিশ শিকার সহ সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ডিম ওয়ালা মা ইলিশ ও জাটকা সহ বিভিন্ন ধরনের ইলিশে এক শ্রেনীর প্রভাবশালীদের ফ্রীজ ভর্তি হচ্ছে। জেলেরা কম দামে তাদের বাড়ীতে ইলিশ মাছ পৌছে দিচ্ছে। মাঝে মাঝে কাউকে কাউকে জরিমানা ও জেল দিলেও উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে অধিকাংশ ইলিশ শিকারীদের।

আগে ইলিশ ক্রেতারা বাজারে যেত ইলিশ কিনতে আর এখন মোবাইলে যোগাযোগ করে প্রতি কেজি বড় ইলিশ ২-৩শ টাকায় ক্রেতাদের বাড়ীতে পৌছে দেয়। ভোর বেলায় যেখানে সেখানে হেটে হেটে বিক্রি করা হয় ইলিশ। জানা গেছে, দালালের মাধ্যমে প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা কর্তা বাবুরা প্রতি জেলের নৌকা থেকে দুই থেকে তিন হাজার টাকা নেয়। বিনিময়ে জেলেদের নির্বিগ্নে ইলিশ ধরার কৌশল শিখিয়ে দেওয়া হয়। টাকা জমা দেওয়া জেলের নৌকায় নির্ধারিত সংকেত চিহ্ন দেওয়া থাকে।

অভিযানের সময় তাদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আবার মোবাইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয় অভিযানের অগ্রীম বার্তারা। যারা টাকা দেয় না দালালরা তাদের সুকৌশলে ধরিয়ে দিয়ে অভিযান স্বার্থক করে।

জানা যায়, দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকার মজি মন্ডল স্প্রীটবোট চালক নুরুন নবী ও উপজেলা মৎস্য অফিসের একজন কর্মকর্তা বিভিন্ন এলাকার জেলেদের এই অপকর্মে সহযোগিতা করেন। এরা দৌলতদিয়া ঘাট নৌ-পুলিশ ফাড়ি ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও উপজেলা মৎস্য অফিসের ম্যানেজের দায়িত্ব পালন করেন।

এ ব্যাপারে দেবগ্রাম ইউপি চেয়াম্যান আতর আলী সরদার আক্ষেপ করে বলেন, প্রতিদিন পদ্মা নদী থেকে কমপক্ষে দুইশ মন ইলিশ ধরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে করনেশন, অন্তর মোড় সহ পদ্মা নদীর বিভিন্ন এলাকায় নৌকা প্রতি দুই থেকে তিনশ টাকার বিনিময়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইলিশ ধরে। পুলিশ তাদের আটক করে না।

তিনি আরও বলেন, আমি ওসি সাহেবকে ফোনে জানালেও কোন ফল হয়নি। এ থেকেই বোঝা যায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উপজেলায় ইলিশ ধারা ও বিক্রির কৌশল পরিবর্তন।