কাজী তানভীর, রাজবাড়ী টুডে.কম: শীত এসে গেছে। ইতিমধ্যেই আমাদের ত্বক তা জানান দেয়া শুরু করে দিয়েছে। বড়দের ত্বকের পাশাপাশি শীতের সময় ছোটদের ত্বকেরও দরকার বিশেষ যত্ন। শীতের সময় শিশুদের ত্বকের যত্ন না নিলে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক ও রুক্ষ। এসময়ে শিশুদের মসৃণ ত্বকও হয়ে ওঠে অমসৃণ। তাই এ সময়ে শিশুদের বাড়তি যত্ন করা উচিত। আসুন জেনে নেয়া যাক শীত শিশুর ত্বকের কিছু যত্ন সম্পর্কে।
গোসলে হালকা গরম পানি
শীতকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে শিশুদেরকে গোসল করালে ঠান্ডা লেগে যায়। আবার বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল করালেও ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। তাই এই সময়ে শিশুকে গোসল করাতে হবে হালকা গরম পানি দিয়ে। তাহলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে, আবার ঠান্ডাও লাগবে না। এছাড়াও শীত কালে গোসলের সময়টা কমিয়ে আনা উচিত। কারণ বেশি সময় ধরে হালকা গরম পানিতে থাকলেও ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়।
ময়শ্চারাইজিং
শিশুকে গোসলের পর বেবি লোশন কিংবা অলিভ ওয়েল মেখে দিন পুরো শরীরে। কারণ শীত কালে গোসলের পরে শরীরে ময়শ্চারাইজার না লাগালে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে ওঠে। তাই প্রতিদিন গোসলের পর অবশ্যই ভালো মানের বেবি লোশন, বেবি অয়েল কিংবা অলিভ অয়েল লাগিয়ে দিন শিশুর পুরো শরীরে। তাহলে শিশুর ত্বক থাকবে নরম ও মোলায়েম।
প্রচুর পানি খাওয়া
শীত কালে প্রকৃতির শুষ্কতা বেড়ে যায়। আর তাই এসময়ে সবারই প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত। প্রচুর পানি খেলে দেহের আর্দ্রতা ধরে রাখা যায় এবং ত্বকের শুষ্ক ভাব কমে যায়। শীতকালে শিশুদেরকে বার বার পানি খাওয়ান। কিছুক্ষন পরপর পানির গ্লাস নিয়ে যান তাদের কাছে। অনেক সময় শিশুরা পানি খেতে চায় না। এক্ষেত্রে তাদেরকে বুঝিয়ে রাজি করিয়ে পানি খাওয়ান অথবা ফলের রস করে খাওয়ান। যেসব নবজাতকরা পানি খায় না শুধু মায়ের দুধ খায়, তাদেরকে কিছুক্ষন পর পরই দুধ খাওয়ান। তাহলে শরীরে পানির অভাব হবে না এবং ত্বক ভালো থাকবে।
লিপ বাম
শীতকালে বড়দের মতোই শিশুদেরও দরকার ঠোঁটের যত্ন। আর তাই শিশুদের ঠোঁটে ভ্যাসলিন বা গ্লিসারিন লাগিয়ে দিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে। অনেক সময় নবজাতক শিশুরও ঠোঁট ফেটে যায়। এক্ষেত্রে আঙুলের মাথায় সামান্য পরিমান ভ্যাসলিন নিয়ে নবজাতকের ঠোটে লাগিয়ে দিতে পারেন। তবে বুকের দুধ খাওয়ানোর আগে তা মুখে দিন ভালো করে।
হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন
শিশুর রুমে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন। বাজারে বেশ কিছু ব্র্যান্ডের হিউমিডিফায়ার পাওয়া যায়। এগুলোর কাজ হলো বাতাসের আর্দ্রতা ধরে রাখা। রুমে হিউমিডিফায়ার রাখলে বাতাসের আর্দ্রতা ঠিক থাকে। ফলে শিশুর ত্বকে শীতের শুষ্কতার প্রভাব পড়ে না। ত্বক থাকে সুন্দর ও মোলায়েম।