ক্রাইম রিপোর্টার(ঢাকা), রাজবাড়ী টুডে ডট কম: ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আকর্ষণীয় ও খোলামেলা ছবি পোস্ট করার মাধ্যমে উঠতি বয়সী মেয়েদের একটা বড় অংশই ইদানিং অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। ছেলেদের সাথে ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে হাতিয়ে নিচ্ছে সবকিছু।
অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে এ চক্রেরই এক সদস্যের নানা কৃর্তী।
শোভা শাহরিয়ার। বয়স ২৩। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী। লেখাপড়ার পাশাপাশি ২০১৩ সালের শেষ দিকে নাম লেখান মডেলিংএ। উচ্চাভিলাসী শোভার শুরুটা স্টিল ফটোগ্রাফির মডেল হিসেবেই। অল্প সময়েই তিনি সখ্যতা গড়ে তোলেন উচ্চবিত্ত ও প্রভাবশালীদের সাথে। আসক্তি বাড়ে মাদকে। তার এই চক্রে রয়েছে আরও কয়েক তরুণী। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী অনেকেই।
(ছবিতে: একাধিক ছেলের সাথে তার অন্তরঙ্গ মুহূর্ত)
টাকার লোভে নিজেকে বিলিয়ে দেন উচ্চবিত্তদের মাঝে। দিনে দিনে মডেলিং এর আড়ালে হয়ে ওঠেন কর্লগার্ল। তথ্য আছে রাজধানীর একটি হাসপাতালে একাধিকবার অ্যাবরশন করিয়েছেন তিনি।
সময়ের সাথে সাথে তার যোগাযোগ হয় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের অক্টোবরে পরিচয় হয় প্রবাসী ধনাঢ্য এক ব্যবসায়ীর সাথে। মিউজিক ভিডিও শ্যুটিংয়ের নামে তার সাথে চলে যান সমূদ্র শহর কক্সবাজারে।
শ্যুটিংয়ের ফাঁকে অভিজাত হোটেলে তিন রাত চার দিন আয়েশি সময় কাটে শোভার। এক পর্যায়ে ওই ব্যবসায়ীর সাথে অপ্রস্তুত অবস্থায় আপন ছোট ভাই এর কাছেই হাতে নাতে ধরা পড়েন মডেল শোভা।
তবে কূটকৌশলে পরিস্থিতি সামাল দেন তিনি। প্রযোজক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে উল্টো ধর্ষণের অভিযোগ এনে হাতিয়ে নেন নগদ অর্থ ও দামি মোবাইল। ঘটনা প্রকাশ পায় শ্যুটিং ইউনিটেরই এক সদস্যের মাধ্যমে।
এর পর শুরু হয় বিত্তবানদের ব্যক্তিগত বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি তুলে, ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার নতুন পদ্ধতি। খোলামেলা ছবি আপ করে ক্লায়েন্ট ধরতে ব্যবহার করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে। পার্টি গার্ল হিসাবে অংশ নিচ্ছেন ডিজে পার্টিতে। জড়িয়ে পড়েন নিষিদ্ধ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়। কলগার্ল সাপ্লাইয়ারের অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
ঠিকানা পরিবর্তণের মাধ্যমে রাজধানীর নতুন নতুন এলাকায় চলে তার ছল চাতুরী, নষ্টামী ও মাদকের ব্যবসা। এসব কাজে জুড়ি নেই তার।
মাদক ব্যবসা, সেবন ও অসামাজিক কাজের অভিযোগে চলতি বছরেই মিরপুরের নিজ বাসায় সহযোগীদের সাথে আটক হন শোভা। সেসময় তিন দিনের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
বর্তমানে বসুন্ধরা জি ব্লকে চলছে তার রমরমা ব্যবসা। রাগে, ক্ষোভে ও ঘৃণায় বাবা-মা ও বড় ভাই দুরে সরে গেলেও অনৈতিক কাজ ধামাচাপা দিতে কৌশলে নিজের কাছে রেখেছেন ছোট ভাইকে।
প্রশাসন এখনই ব্যবস্থা না নিলে এ অপরাধের জাল আরো বিস্তৃত হবে, নষ্ট হবে যুব সমাজ। এমন শঙ্কা অনেকের।