খন্দকার রবিউল ইসলাম, রাজবাড়ী টুডে ডট কম: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে চাঞ্চল্যকর ভূমি সার্ভেয়ার তৌহিদুল হত্যা মামলার আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
এর আগে মামলার আসামি শাহিন শেখ (২৫) কে গ্রেফতার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত শাহিন শেখ গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মিনহাজউদ্দিন পাড়ার বারেক শেখের ছেলে।গোয়ালন্দ ঘাট থানা সুত্র জানায় , গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহিনকে ফকির পাড়া অহেদ ফকিরের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে রোববার বেলা আড়াইটার দিকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্র জানায়, সে এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ন তথ্য দিয়েছে।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৩দিন পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়া হাই স্কুলের পিছনের ডোবা থেকে তৌহিদুজ্জামানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তৌহিদুজ্জামান বদেরের চর দৌলতদিয়া গেন্দু বেপারী পাড়ার রোকন বেপারীর ছেলে।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, তৌহিদুজ্জামানের সেদিন শনিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে একটি ফোন কল পেয়ে বাড়ি থেকে গোয়ালন্দ বাজারে যান। গোয়ালন্দ বাজার থেকে তিনি দৌলতদিয়া ঘাটে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় রাত পৌনে ৯ টার দিকে তিনি স্ত্রী আফরোজাকে মোবাইল ফোনে জানান দৌলতদিয়া মনোরমা সিনেমা হলের সামনে থেকে তিনি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন।
এরপর থেকে তার (তৌহিদুজ্জামানের) মোবাইল ফোনটি বন্ধ এবং তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
অনেক চেষ্টা করে কোথাও না পেয়ে তৌহিদুজ্জামানের স্ত্রী আফরোজা বেগম নিখোঁজের ২দিন পরে গোয়ালন্দ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ পাওয়ার পর থেকে পুলিশ হত্যাকারীদের ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছিল তারি ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহিন শেখ (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং বিচারকের সামনে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মির্জা মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, তৌহিদুজ্জামানের স্ত্রী সাধারণ ডায়েরি করার পর থেকেই পুলিশ নিখোঁজের সন্ধান করতে থাকে। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর মৃতদেহ পাওয়া যায়।