মাসুদ রেজা শিশির, পাংশা প্রতিনিধি: পাংশা পৌর সভা এলাকার পশু হাসপাতালের পাশে অবস্থিত পাংশা ক্লিনিকে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে রয়েছে শিশু পুত্র।
ভুল চিকিৎসায় কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের চরছিলকা গ্রামের প্রবাসী আক্তার হোসেনের প্রসূতি স্ত্রী আন্না খাতুন (২৫) মারা যান।
জানা গেছে,জেলার কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউপির চরছিলকা গ্রামের প্রবাসী আক্তার হোসেনের প্রসুতি স্ত্রী আন্না খাতুন (২৫) নিয়মিত চেক আপ করানোর জন্য পাংশা ক্লিনিকে যান সেখানে চেকআপ করার পর সন্তান ও মা ভাল আছে এমন খবর দেন সেখানের চিকিৎসকগন একই সাথে তাদের আজই সিজার করাতে বলেন।
আন্না খাতুনের ভাই সিরাজুল ইসলাম জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিজার করা হয়। সিজারের আধা ঘন্টা পরই রোগীর অবস্থা ভাল নয় বলে ক্লিনিক কতৃপক্ষ একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে দ্রুত ফরিদপুর নেওয়ার জন্য চাপ দেয়।
পাংশা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নিজেরাই গাড়ী ভাড়া করে সদ্য বাচ্চা প্রসব আন্না খাতুনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দ্যেশে ক্লিনিক থেকে বের করে দেয়। ক্লিনিক থেকে বের হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই আন্না মারা যায়।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদেরকে ফরিদপুর পাঠানোর কথা বলে তারা কৌশলে আমাদের ছোট শিশু পুত্রকে ক্লিনিকের বাইরে রেখে দিয়ে ক্লিনিকের মূল ফটকে তালা মেরে পালিয়ে যায়।’
এদিকে ওই ক্লিনিকে আরোও ৩ জন রোগী ও তাদের স্বজনেরা ভিতরে আটকা পড়ে। রাতে তাদের স্বজনেরা খাবার নিয়ে আসলেও দিতে পারেনি তাদের এমন অভিযোগ করেন । উপজেলার বাবুপাড়া ইউপির সুজানগর গ্রাম থেকে আসা রোগী রহিমার স্বজন নাসির উদ্দিন।
ভুল চিকিৎসায় নিহত আন্না খাতুনের ভাই সিরাজুল সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা এই মৃত্যুর বিচার চাই। কারণ ডাক্তারা আমার বোনকে হত্যা করল। তিনি বলেন, ডাক্তার আঞ্জু আরা সুমি আমার বোনের অপারেশন করেছে।’