(ফলোআপ নিউজ)
মো: মাহ্ফুজুর রহমান,রাজবাড়ী টুডে ডট কম:ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলা কোর্ট চত্ত্বর এলাকায় আড়াই বছর আগে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত ট্রাকের ওজন স্কেলের বেহাল দশা দীর্ঘ দিনের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিটিসির তত্ত্বাবাধনে চলবে সপ্তাহ ব্যাপী মেরামতের কাজ । স্কেল স্থাপনে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহারের ফলেই বার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। মাঝে মাঝে গাডার, চেকার প্লেট পাল্টানোর নামে লাখ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ দীর্ঘ মেয়াদী কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
আড়াই বছর আগে ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেলাল এন্ড ব্রাদার্স নামে একটি কোম্পানী স্কেলটি স্থাপন করে। তৎকালীন সময় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি স্থাপন করা হয়। স্থাপনের তিন মাস পর থেকেই নেওয়া হয় মেরামতের কর্মসূচি। স্কেলটি বিকল হওয়ার ঘটনা নিত্যদিনের। স্কেলটি দৌলতে যেভাবে সরকারের রাজস্বআয় হয় কিন্তু তুলনাই গুরুত্বের সাথে সেভাবে নজরদারী নাই কর্তৃপক্ষের।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ঢাকামূখী প্রতিদিন প্রায় সহস্রাধিক মালবাহী ট্রাক দৌলতদিয়া ঘাটের ফেরিতে ওঠার আগে বিআইডব্লিটিসির এই স্কেলে ট্রাক ওজন করা হয়। সরকারের রাজস্ব খাতে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হলেও, সঠিক সময়ে মেরামতের অভাবে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে এখন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকার একে ভূইয়া এন্ড কোম্পানীর দায়িত্বরত ফোরম্যান মো: আকবর আলী স্কেলের মেরামতের কাজ করছেন। স্কেলের গাডার কাদা-মাটি লেগে ক্ষয় হয়ে গেছে। সেই গাডার, চেকার পেল্ট কেটে তুলে ফেলে নতুন করে লাগানো হচ্ছে। স্কেল মেরামত কাজে কর্মরত ফোরম্যান আকবর আলী জানান, গত শনিবার দুপুর থেকে মেরামতের কাজ চলছে। আগামী ১ সপ্তাহ লাগবে এই মেরামতের কাজ শেষ করতে।
আরো দেখো গেছে, স্কেলে ট্রাক উঠা ও নামার জন্য মহাসড়কের সাথে সংযোগ রাস্তা রয়েছে। বিভিন্ন সময় মেরামতে অনিয়ম থাকলে সংযোগ সড়ক ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্কেলের দুই পাশের সংযোগ সড়কে কালো কালো ধারালো ঝামা ইট ফেলে গর্ত ভরাট করা হয়। স্কেলের দুই পাশে দেওয়া ঝামা ইটের ঘর্ষণে ঘন্টা ঘন্টায় মালভর্তি ট্রাকের টায়ার ফেটে যাওয়া ঘটনা নিত্যদিনের। এ সকল ঘটনায় প্রতিনিয়তই ঢাকামুখী মাল বোঝাই ট্রাক চালকরা অতিষ্ট হয়ে পরেন। গন্তব্যের জায়গায় পৌছাতেও হচ্ছে দেরি।
জানা গেছে, স্কেল স্থাপন কালীন সময়ই স্কেলটির দুই পাশে কাচা মাটির উপর নাম মাত্র কার্পেটিং করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। তৎকালীন সময় ৩ মাস যেতে না যেতেই কার্পেটিং উঠে স্কেলের দুই পাশে কাদামাটির রাস্তায় পরিণত হয়। সে থেকেই ইটবালু ফেলতে ফেলতে বর্তমানে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্কেলের উপরে চেকার প্লেট ভেঙ্গে যাওয়ায় ট্রাক চালকরা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী পার করছে।
এ ব্যপারে দৌলতদিয়া ঘাটের বিআইডব্লিটিসির ম্যানেজার মো: শফিকুল ইসলাম জানান, সংস্কারে কাজ শেষ করতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। কিন্তু ট্রাক চালকদের মালের চালান দেখে ট্রাকের ওজন না মেপেই তাদেরকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। মেরামতের কাজ শেষ হলে পূর্বের ন্যায় আবারো ট্রাক ওজন করা হবে।