মো: মাহ্ফুজুর রহমান,রাজবাড়ী টুডে ডট কম: ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলা কমপ্লেক্স এর সামনে স্থাপিত ট্রাকের ওজন স্কেলের বেহাল দশা। স্কেলটির কারনে যেভাবে আয় হয়, কিন্তু সেভাবে নজরদারি নাই কর্তৃপক্ষের।
সরকারের রাজস্ব খাতে প্রতিদিন প্রায় ২লাখ টাকা আয় হলেও মেরামতের অভাবে প্রতিনিয়তই ট্রাক চালকদের পড়ছেন দূর্ভোগে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ঢাকামুখী মালবাহী ট্রাকগুলোকে দৌলতদিয়া ফেরিতে উঠার আগে এই স্কেলে ট্রাক ওজন করা হয়। গোয়ালন্দ উপজেলাধীন দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে ট্রাকের ওজন স্কেলের দূরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কেলে ট্রাক উঠা ও নামার জন্য মহাসড়কের সাথে সংযোগ রাস্তা রয়েছে। বিভিন্ন সময় মেরামতে অনিয়ম থাকায় সংযোগ সড়ক ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্কেলের দুই পাশের সংযোগ সড়কে কালো কালো ধারালো ঝামা ইট ফেলে গর্ত ভরাট করা হয়।
স্কেলের দুই পাশে দেওয়া ঝামা ইটের ঘর্ষণে মালভর্তি ট্রাকের টায়ার ফেটে যাওয়া ঘটনা প্রায় প্রতিদিনের। এ সকল ঘটনায় ঢাকা অভিমুখী মাল বোঝাই ট্রাক চালকরা অতিষ্ট হয়ে পরেন। গন্তব্যে পৌছাতেও হচ্ছে দেরিতে।
দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরিতে ওঠার আগে এই স্কেলে ট্রাক ওজন করা হয়। প্রতিদিন প্রায় ১ থেকে দেড় হাজার ট্রাক এ রুটে চলাচল করে। দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাটের ফেরিতে ওঠার সময় প্রতিটি ট্রাকে নির্দিষ্ট পরিমান মালের অতিরিক্ত মাল বহন করলে প্রতি টনে ১২০ টাকা হারে অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হচ্ছে ট্রাক চালকদের।
জানা গেছে, স্কেল স্থাপনের সময়ই স্কেলটির দুই পাশে কাচা মাটির উপর নাম মাত্র কার্পেটিং করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি । সেই সময় ৩ মাস যেতে না যেতেই কার্পেটিং উঠে স্কেলের দুই পাশে কাদামাটির রাস্তায় পরিণত হয়। সে থেকেই ইটবালু ফেলতে ফেলতে বর্তমানে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্কেলের উপরে চেকার প্লেট ভেঙ্গে যাওয়ায় ট্রাক চালকরা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী পার করছে। স্কেল স্থাপনে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহারের ফলেই বার বার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। মাঝে মাঝে গার্ডার, চেকার প্লেট পাল্টানোর নামে লাখ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ দীর্ঘ্য মেয়াদী কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
আড়াই বছর আগে ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেলাল এন্ড ব্রাদার্স নামে একটি কোম্পানী স্কেলটি স্থাপন করে। তৎকালীন সময় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর থেকেই বার বার স্কেলটি বিকল হয়ে পড়ছে।