মোঃ মাহ্ফুজুর রহমান, রাজবাড়ী টুডে ডট কম: ১ কেজি কাঁচা মরিচ দিন? কতটুকু দিবো প্রশ্ন কাঁচা বাজার দোকানদার মোস্তফার। কথা শেষ না হতে আবার বলে উঠলো ঝাল বেড়েছে কাঁচা মরিচের। কথাটা শুনেই মনের মধ্যে কিছু প্রশ্ন জাগে। ৩০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচের দাম এখন ২শত থেকে ২৫০ টাকা। আদার বেপারী এখন জাহাজের খবর নিচ্ছে। ৩০ টাকা কেজি আদা এ সপ্তাহ ১৬০ টাকা কেজি দ্বরে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
অপর দিকে কাঁচা বাজারের সকল সবজির দাম হয়েছে দ্বিগুনেরও বেশি। নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজারের সবজির দাম বাড়লেও চাষীরা তাদের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। গত সপ্তাহ থেকে ২শ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। যা দশ দিন আগের বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। সাত দিনে কাঁচা মরিচের দাম দ্বিগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে । গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। কোরবানীর পর থেকেই বেড়েই চলেছে কাঁচা মরিচের দাম।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের ৪টি ইউনিয়নের প্রায় দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন দীর্ঘ ৩ মাস যাবৎ বৃষ্টি, বন্যা, পদ্মা নদী ভাঙ্গণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সবজি চাষীরা। চাষের জমিতে চাষরত সবজিসহ তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। দেশব্যাপি টানা বৃষ্টি, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থর সাথে তাল মিলিয়ে এবার বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম।
উপজেলাধীন গোয়ালন্দ কাঁচা বাজার, জামতলা , অন্তর মোড় বাজার, কাটাখালি বাজার, দৌলতদিয়া ঘাট, মমিনখান হাট, হামেদ খার হাট, শামছু মন্ডলের হাট সহ বিভিন্ন বাজারে খোজ নিয়ে দেখা গেছে, এবার সবজির বাজারে সব চেয়ে দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। কাঁচা বাজারে সব ধরনের সবজির দামও চড়া।
কাচা বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সকল সবজির মধ্যে পেয়াজের দাম আগের দামেই বিক্রি হয়েছে। যার খুচরা মূল্যে ছিল ৩০ টাকা প্রতি কেজি। প্রতি কেজি রসুন ১৬০ টাকা, শসা ২০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আলু দ্বিগুন বেড়ে ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, ৬ টাকা কেজি দ্বরে পেঁপের দাম বেড়ে ৩০ টাকা, বাধা কপির ৯০ টাকা, করোল্লা ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, ৮ টাকা কেজি পটল দাম বেড়ে ৫০ টাকা কেজি দ্বরে বিক্রি হচ্ছে।
গোয়ালন্দ পৌর জামতলা বাজার এলাকায় কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী ইমদাদুল বিশ্বাস বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-আযাহা শেষে কাঁচা বাজারের সব সবজির দাম বেড়েছে। আমারও একটু বেশি দামে কিনছি ও বিক্রিও করছি বেশি দামে।
উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের নলডুবি গ্রামের মোঃ ইয়ার হোসেন ও চরবালিয়াকান্দির শামছু শেখ দুঃখ করে বলেন, বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে মরিচ ক্ষেত, পচে গেছে পটল ও বেগুন ক্ষেত। ফলন হচ্ছে না। যাইবা পাচ্ছি নিজেদের খাওয়ার কাজও চলছে না।
বিজ্ঞানীতের মতে কাঁচা মরিচে সাধারণত খাদ্যের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। এর বিশেষ উপাদান ক্যাপসাইকিন যা মরিচের ঝাল বাড়ায়। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। ঝাল স্বাদের সবজিগুলোতে থাকে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্রিপেটাক্সানথিন ও লুটেইন জিয়াক্সানথিন ইত্যাদি উপাদান। এই উপাদান গুলো মুখে লালা আনে ফলে খেতে মজা লাগে।