মো: মাহ্ফুজুর রহমান(রাজবাড়ী টুডে ডট কম): নদী ভাঙনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বিগত প্রায় দুইমাস যাবত নদী পারাপারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া পবিত্র ঈদুল আযহা শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপে গত কয়েক দিন যাবত গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যানজটের এলাকায় পরিনত হয়েছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রবিবার দুপুরে দৌলতদয়িা ঘাটে কিছু সংখ্যক ট্রাক ছাড়া পরিবহনের গাড়ী তেমন ছিলনা বললেই চলে। দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট কিছুটা কমেছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, যেকোন মুহুর্তে আবার জট সৃষ্টি হতে পারে।
বিআইডব্লিউটিসি ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম জানান, পদ্মার প্রবল স্রোতে ফলে ভাঙনে ৪নং ফেরি ঘাট শনিবার রাত ১টায় আবারও বন্ধ হয়েছে। বর্তমানে এ নিয়ে দৌলতদিয়ায় ১ ও ৩নং ফেরিঘাট কোন মতে চালু থাকলেও বন্ধ রয়েছে ২ও ৪নং ঘাট। বর্তমানে এরুটে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিন বঙ্গের ২২টি জেলার দুর পাল্লার পরিবহনের বাসগুলি এ রুট পরিবর্তন করে যমুনা সেতু হয়ে রাজধানীতে যাচ্ছে। এতে তাদের পরিবহন আয় কম হচ্ছে। যাত্রীদের ভ্রমন ব্যয় বেড়ে গেছে। দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌ-রুটে যানবাহন পারাপারের ঘাট নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় এ রুট থেকে সরকারের প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা রাজস্ব আয় কমে গেছে।
দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় ঈদের আগে বিআইডব্লিউটিসির সাথে বিভিন্ন পরিবহন মালিক সমিতি গুলো যেকোন মূল্যে দৌলতদিয়া ঘাট যানজট মুক্ত রাখার অঙ্গিকার করে। এতে দৌলতদিয়া ঘাটে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক একজন পরিবহন সুপার ভাইজার জানান, আগে এরুটে তাদের ২৫টি গাড়ী চলাচল করলেও বর্তমানে ৫টি গাড়ী চলাচল করছে।
এছাড়াও গোয়ালন্দ উপজেলার সামনে মহাসড়কে স্থাপিত বিআইডব্লিউটিসির ট্রাক ওজন স্কেল থেকে জানা যায়, প্রতিদিন ৭-৮শত ট্রাক এ স্কেলে ওজন হয়। বতর্মানে তা কমে মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ ট্রাক ওজন হচ্ছে বলে জানা গেছে।