মোঃ মাহ্ফুজুর রহমান,(রাজবাড়ী টুডে)ঃ পবিত্র ঈদুল আযহা শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চরম দর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায়। দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে প্রশাসন কর্তৃক যাত্রী নিরাপত্তা আগের মতো থাকলেও পদ্মা নদীর প্রবল ভাঙ্গণে ফেরি ঘাটের বেহাল অবস্থা দূর করতে পারেনি।
এতে করে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে ঈদ শেষে দক্ষিন বঙ্গের ২২জেলা থেকে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীরা। নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পরিবহন চালকদের। বেলা বাড়ার সাথে সাথে দৌলতদিয়ায় বাস-ট্রাকের লম্বা লাইন বৃদ্ধি পায়।
গত শুক্রবার বিকালে ঘাট পরিদর্শন কালে দেখা যায়, দৌলতদিয়ার ৪টি ফেরি ঘাটের ১,৩,৪ নং ঘাট সচল থাকলেও ২নং ঘাটটি বন্ধ রয়েছে। ঘাট এলাকার জিরো(০) পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ উপজেলা রেলগেট পর্যন্ত দু’লাইনে প্রায় ১০ কিলোমিটার বাসের লম্বা লাইন।
এতে করে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে সহ¯্রাধিক পরিবহনের যাত্রী ও চালকরা। ঢাকা রাজধানীর সাথে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গের ২১টি জেলার নৌ যোগাযোগের একটি বৃৃহত্তম প্রধান নৌ বন্দর হচ্ছে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুট।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়ার ৪টি ফেরি ঘাট দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়ে বন্ধ রয়েছে। কখনও একটি আবার কখনও দুইটি ঘাট দিয়ে ঈদের বাড়তি যানবাহন পারাপার হচ্ছে।
এখনও ঈদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে বিকল্প কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি ঘাট কর্তৃপক্ষ । কর্তৃপক্ষ বলছে, পদ্মার প্রবল ¯্রােতে একের পর এক ঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তাই স্থায়ী কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা যাচ্ছে না ।
জানা গেছে, ঘাট সংকটের কারণে ফেরি পল্টনে ভিড়ার জায়গা না পাওয়ায় অলস বসিয়ে রাখা হয়েছে কয়েকটি ফেরি।
দৌলতদিয়া ঘাটের বিআইডব্লিটিসির ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, ফেরী সংকট নেই। নদীতে প্রবল স্রোত ও ঘাট সংকটের কারণে ফেরি ভিড়ার জায়গা সংকটে সবগুলো ফেরি চলতে পারছে না।
তিনি আরো বলেন, ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীবাহী গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুট বর্তমানে ১৮টির মধ্যে ১৫টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে।