ভারতের এক নারী অভিযোগ করেছেন, গোমাংস খাওয়ার অপরাধে তাকে এবং তার ১৪-বছর বয়সী বোনকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।
বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, যে চার ব্যক্তি তাদের ধর্ষণ করেছে, তারা সে সময় বলেছিল যে গরুর মাংস খাওয়ার জন্যই তাদের শ্লীলতাহানী করা হচ্ছে।
তবে এই দুই নারী গোমাংস খাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হরিয়ানা রাজ্যের মেওয়াটে দু`সপ্তাহ আগে একদল জঙ্গী হিন্দু এক বাড়িতে হামলা চালিয়ে একজন পুরুষ ও একজন মহিলাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
সে সময় এই দুই নারীও নির্যাতনের শিকার হন। তবে সে সময় তাদের ধর্ষণের কথাটি জানাজানি হয়নি।
ঐ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করেছে।
তবে হামলার সাথে গোরক্ষক সংগঠনের সদস্যরাই যে জড়িত রয়েছে এর পক্ষে কোন প্রমাণ তারা পায়নি।
ভারতের রাজধানী দিল্লির থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে বিজেপি শাসিত রাজ্য হরিয়ানায় গোমাংস খাওয়া বা বহন করা নিষিদ্ধ।
আইন করে সেখানে গো-সেবা কমিশন আর গরু জবাই বা পাচার রোখার জন্য একটি বিশেষ পুলিশ দলও তৈরি হয়েছে।
মেওয়াট জেলাটি মুসলমান-প্রধান এলাকা। এখানকার জনসংখ্যার প্রায় ৭০% মুসলমান।
খবর: বিবিসি বাংলা