রাজবাড়ীর জেলা সদরের বরাট ইউনিয়নে নদী ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগে নিম্নমানের বালি ভর্তির অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গৌরপদ সূত্রধরের কাছে জানতে চাওয়া মাত্রই সাংবাদিকদের ওপর স্থানীয় সন্ত্রাসী লাভলু ও তার সহযোগীরা চড়াও হয়।
সোমবার সকালে রাজবাড়ী ১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী সদরের বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা এলাকায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ নদীতে ফেলে কাজের সূচনা করেন। এ সময় ভাঙন কবলিত স্থানীয় মানুষেরা নদী থেকে অবাধে বালি উত্তোলনের অভিযোগ ও জিও ব্যাগে মোটা দানা বালির বদলে ভরাট বালি ভর্তির প্রতিবাদ জানালে এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গৌরপদ সূত্রধর এর সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী লাভলু তার সহযোগীদের সাথে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রতি চড়াও হয় এবং উত্তপ্ত বাক্যে আক্রমণ করতে থাকে। পরে স্থানীয়রা পরিস্থিতি শান্ত করে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গৌরপদ সূত্রধর বালি উত্তোলনের বিষয়ে বলেন, ‘বালি উত্তোলনের পারমিশন (অনুমতি) পানি উন্নয়ন বোর্ড দেয়নি।যদি বালি বাধেঁর কাছ থেকে কাটে তাহলে বাধেঁর ক্ষতি হয়।তবে যদি নদীর দূর থেকে বালি কাটে তাহলে উপকারই হবে।আর বাধেঁর কাছ থেকে বালি কাটা হয় তাহলে সেটি বাধেঁর জন্য ক্ষতিকর।’
ভরাট বালি ভর্তির ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘অনুপাত ঠিক রেখে যেভাবে কাজ করার সেভাবেই করা হচ্ছে। স্থানীয়রা কি আর অতো কিছু বোঝে?’
নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে রাজবাড়ী ১ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ‘যদি বালি কাটার কারণে নদী ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্থানীয় চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কখনও বালি কাটতে দেবো না। আমরা কোনও বালি কাটতে দেবো না।’