খন্দকার রবিউল ইসলাম,(রাজবাড়ী): আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সাথে রাজধানী যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে নিরাপদ নৌ চলাচল, ফেরী ও লঞ্চ ঘাট যানজটমুক্ত এবং ঈদে ঘরমুখী ও ঈদ শেষে কর্মমুখী মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি সভা করেছে প্রশাসন।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় উভয় ঘাটে আইন-শৃঙ্খলা ও ঈদ জামাত এবং কোরবানীর পশুর বর্জ্য ফেলা সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রট জিনাত আরা সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, রাজবাড়ী পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দা নওশীন পন্নিনী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মোনয়ার হোসেন মোল্লা, পৌর মেয়র মোঃ আলী চৌধুরী, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক(বানিজ্য) মোঃ শফিকুল ইসলাম, বিআইডব্লিউ এ কর্মকর্তা, সাংবাদিক খন্দকার রবিউল ইসলাম, বাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি হাসান মিয়া, বাস মালিক সমিতির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোরাদ হোসেন, প্রমুখ।
এসময় কয়েকটি দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটের বর্তমান যে পরিস্থিতি রয়েছে তাতে এবার ঈদে ঘাট দিয়ে আসা মানুষর দুর্ভোগের শেষ হবে না। যেহেতু তীব্র স্রোতের কারনে ফেরি চলাচলে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে, তাই এই অবস্থায় সরাসরি ফেরি পারাপার যে বাস গুলি এ ঘাট দিয়ে যাতায়াত করবে সে গুলিকে ফেরি পার না করে ফেরিতে যাত্রি পার করতে হবে। তাহলে ঘাটে যানজট থাকবে না মানুষ সুন্দর ভাবে তাদের বাড়ীতে গিয়ে ঈদ পালন শেষে আবার কর্মস্থলে যেতে পারবে। এ ছাড়া সভায় বাস মালিকদের ভিন্ন রোড ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
রাজবাড়ী পুরিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম বলেন, ঘাটে মাত্র ২টি ফেরি ঘাট যানবাহন পারার করছে। বাকী ২টি ঘাট বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটের অবস্থা মারাত্বক ভাবে খারাপ। তাই ঘাটের বর্তমানে সঠিক পরিস্থিতি সাধারন মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। যাতে ‘আমারা বললাম ঘাট ভালো আর মানুষ গুলো এসে বিপদে না পরে। তাই সত্য হলো ঘাটের যে অবস্থা যাত্রী সাধারনকে বলবো যে যেখানে আছেন এবার সেখানেই ঈদ করুন।যদিও এটা বলা ঠিক নয় কিন্তু এবার ঘাটের যে অবস্থা তাতে ঘাটে যদি ৩/৪দিন আটকে থাকতে হয় তার চে ভালো যে খানে আছেন সে খানেই ঈদ করা।’
তাছারাও ঈদে দীর্ঘদিন ধরে চলা দালাল চক্রের তৎপরতা ছিনতাই, পকেটমারসহ অন্য অপরাধীরা প্রস্তুত থাকে যাত্রীদের সব কিছু লুটে নেওয়ার জন্য । এসব বিষয় মাথায় রেখে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার সার্বক্ষণিক দৌলতদিয়া ঘাটের চিত্র পর্যবেক্ষণের জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছেন।
এবার দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ২০টি লঞ্চ ও ১৯টি ফেরি চলাচল করবে।