ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন রাজবাড়ীতে মাদকদ্রব্যর অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ও আলোচনা সভা রাজবাড়ীতে ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মোজাম্মেল আটক রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প (ফেইজ-২) বাস্তবায়ন বিষয়ক সাধারণ সমন্বয় সভা সন্ধ্যার মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে হবে-প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী রামকান্তপুর ইউনিয়ন ও পৌর নবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোহেল রানা। ঈদুল ফিতর’ উপলক্ষে চন্দনী ইউনিয়বাসীর সুস্বাস্থ্য, সুখ-সমৃদ্ধি ও অনাবিল আনন্দ কামনা করে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-শাহিনুর পৌরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা মীর সজল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকেঈদের শুভেচ্ছা কাজী ইরাদত আলীর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ

মৃত্যুই এখন পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘজীবি মানুষটির একমাত্র ইচ্ছা!

এক ইন্দোনেশীয় পুরুষ যিনি ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবি মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন মৃত্যুই এখন তার একমাত্র ইচ্ছা।
মধ্য জাভার স্র্যাজেন এর বাসিন্দা মাবাহ গোথো নামের ওই ব্যক্তির জন্ম হয় ১৮৭০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তার নাগরিক পরিচয়পত্রে এই জন্মতারিখটিই লেখা রয়েছে।
স্থানীয় রেকর্ড অফিসের কর্মকর্তারাও বলেছেন, ওই ব্যক্তির জন্মতারিখটি যে খাঁটি সে বিষয়টি অবশেষে তারা নিশ্চিত হতে পেরেছেন।
গোথোর বয়স এখন ১৪৫। আর তিনিই এখন পর্যন্ত মানবজাতির নথিভুক্ত ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘবয়সী মানুষ।
কিন্তু অবিশ্বাস্য এই দীর্ঘজীবিতা সত্ত্বেও গোথো বলেন, এ পৃথিবীতে আর বেশিদিন থাকার নূন্যতম ইচ্ছাও আর তার অবশিষ্ট নেই।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি এখন শুধু মরতে চাই।”
গোথো তার ১০ ভাই, চার স্ত্রী এবং এমনকি তার সন্তানদের চেয়েও বেশি দিন বেঁচে আছেন। এখন তার কাছের আত্মীয় স্বজনরা হলেন, নাতি, নাতিদের নাতি এবং তাদের নাতিরা।
গোথোর এক নাতি বলেন তার দাদা ১২২ বছর বয়স থেকেই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি এমনকি নিজের জন্য তার সন্তানদের কবরের পাশে একটি কবর কিনে রেখেছেন।

গোথোর নাতি আরো জানান, ২৪ বছর আগে ১৯৯২ সালে তিনি কবরটি নিজের জন্য কিনে রাখেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গোথো এখন তার বেশিরভাগ সময় বসে থেকে এবং রেডিও শুনে কাটিয়ে দেন। চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে আসায় এখন আর তিনি টেলিভিশন দেখতে পারেন না।
গত তিন মাস ধরে তাকে চামচে করে খাবার দিতে হচ্ছে এবং গোসল করিয়ে দিতে হচ্ছে। কারণ তার শরীর ক্রমবর্ধমান হারে ভঙ্গুর হয়ে এসেছে।
তার এই দীর্ঘায়ু হওয়ার রহস্য কী জানতে চাইলে গোথো বলেন, “ধৈর্য্য, ধৈর্য্যই তাকে দীর্ঘজীবি করেছে”।
এর আগের সবচেয়ে দীর্ঘজীবি মানুষটি ছিলেন ফরাসি নারী জেনা ক্যালমেন্ট। তিনি ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে মারা যান।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

Meraj Gazi

জনপ্রিয় পোস্ট

রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন

মৃত্যুই এখন পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘজীবি মানুষটির একমাত্র ইচ্ছা!

আপডেটের সময় : ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৬

এক ইন্দোনেশীয় পুরুষ যিনি ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবি মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন মৃত্যুই এখন তার একমাত্র ইচ্ছা।
মধ্য জাভার স্র্যাজেন এর বাসিন্দা মাবাহ গোথো নামের ওই ব্যক্তির জন্ম হয় ১৮৭০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তার নাগরিক পরিচয়পত্রে এই জন্মতারিখটিই লেখা রয়েছে।
স্থানীয় রেকর্ড অফিসের কর্মকর্তারাও বলেছেন, ওই ব্যক্তির জন্মতারিখটি যে খাঁটি সে বিষয়টি অবশেষে তারা নিশ্চিত হতে পেরেছেন।
গোথোর বয়স এখন ১৪৫। আর তিনিই এখন পর্যন্ত মানবজাতির নথিভুক্ত ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘবয়সী মানুষ।
কিন্তু অবিশ্বাস্য এই দীর্ঘজীবিতা সত্ত্বেও গোথো বলেন, এ পৃথিবীতে আর বেশিদিন থাকার নূন্যতম ইচ্ছাও আর তার অবশিষ্ট নেই।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি এখন শুধু মরতে চাই।”
গোথো তার ১০ ভাই, চার স্ত্রী এবং এমনকি তার সন্তানদের চেয়েও বেশি দিন বেঁচে আছেন। এখন তার কাছের আত্মীয় স্বজনরা হলেন, নাতি, নাতিদের নাতি এবং তাদের নাতিরা।
গোথোর এক নাতি বলেন তার দাদা ১২২ বছর বয়স থেকেই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি এমনকি নিজের জন্য তার সন্তানদের কবরের পাশে একটি কবর কিনে রেখেছেন।

গোথোর নাতি আরো জানান, ২৪ বছর আগে ১৯৯২ সালে তিনি কবরটি নিজের জন্য কিনে রাখেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গোথো এখন তার বেশিরভাগ সময় বসে থেকে এবং রেডিও শুনে কাটিয়ে দেন। চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে আসায় এখন আর তিনি টেলিভিশন দেখতে পারেন না।
গত তিন মাস ধরে তাকে চামচে করে খাবার দিতে হচ্ছে এবং গোসল করিয়ে দিতে হচ্ছে। কারণ তার শরীর ক্রমবর্ধমান হারে ভঙ্গুর হয়ে এসেছে।
তার এই দীর্ঘায়ু হওয়ার রহস্য কী জানতে চাইলে গোথো বলেন, “ধৈর্য্য, ধৈর্য্যই তাকে দীর্ঘজীবি করেছে”।
এর আগের সবচেয়ে দীর্ঘজীবি মানুষটি ছিলেন ফরাসি নারী জেনা ক্যালমেন্ট। তিনি ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে মারা যান।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ