কিছুদিন আগেই বিয়ে হয়েছে অভিজিৎ ও রুমার। গা থেকে বিয়ের গন্ধ এখনও যায়নি। বিয়ের সময় অনেকেই উপস্থিত হতে পারেনি। তাই নতুন বরকে তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে নিয়ে গিয়েছিলেন রুমা।
কিন্তু সেখানে বরকে রেখে পালিয়ে গেল নববধূ। শরীর ভর্তি ছিল গহনা। চারদিন পার হয়ে গেলেও আর ফেরেননি রুমা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকায়। তবে মেয়ে পক্ষের তরফে কোনো খোঁজ না নেয়ায় চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন অভিজিতের পরিবার। তাদের সন্দেহ গহনা ও টাকা হাতিয়ে নেয়ার লোভেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিল ‘নিখোঁজ’ বধূ।
জানা গেছে, প্রায় দেড় মাস ধরে দেখাশোনার পর ১৪ অগস্ট বক্রেশ্বরের মন্দিরে অভিজিৎ ও রুমার বিয়ে হয়। মেয়ের বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান বা অতিথি আপ্যায়ন না হলেও ছেলের বাড়িতে রীতিমতো বৌভাতের আয়োজন করে ধুমধাম করে অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। বৌভাতের পরেই মহম্মদবাজারে নিজের কর্মস্থলে স্বামীকে নিয়ে যান রুমা। সেখানে সর্বশিক্ষা মিশনে চুক্তিভিত্তিক পদে কর্মরত ছিলেন রুমা।
অভিজিৎ বলেন, রুমার সহকর্মীরা নতুন বর দেখতে এসে আমার সঙ্গে আলাপ করে যান। আধিকারিকরাও পরিচয় করেন। এরপরে দফতরের নীচের ক্যান্টিনে আমাকে নিয়ে যায় রুমা। সেখানে টিফিন করি দু’জনে। তার পরে অফিসে বসিয়ে রেখে পালিয়ে যায় রুমা।
অভিজিৎ জানান, প্রথমে ফোন করলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার কথা বলেন রুমা। তার পরে একাধিকবার ফোন করা হলেও রুমা আর ফোন ধরেননি। বিষয়টি শ্বশুরবাড়িতে রুমার ভাইকে ফোন করে জানান অভিজিৎ। তিনি প্রথমেই জানতে চান, বোন সব গহনা পড়ে এসেছিল কি না।
তবে এ বিষয়ে অভিজিৎ বা রুমার পরিবার এখনও পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। মৌখিকভাবে ঘটনার কথা জানানো হয়েছে।
ছেলের বাড়ির দাবি, যাদের মেয়ে হারিয়েছে, তারা আগে থানায় অভিযোগ করুক। এই ঘটনার পেছনে মেয়ের বাড়ির তরফে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে অভিজিতের পরিবার।
পুলিশের বক্তব্য, লিখিত অভিযোগ দায়ের না হলে তাদের কিছু করণীয় নেই।