পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, পৃথিবীর যুদ্ধবিধস্ত বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের অনন্য অবদান বিশ্ব বাসীর অকুন্ঠ সমর্থন ও প্রশংসা অর্জন করেছে। পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলাবোধ ও উঁচুমানের নৈতিকতা বজায় রেখে এ অর্জন ধরে রাখতে হবে।
আইজিপি গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে দারফুর, হাইতি, কঙ্গো, মালি, আইভরিকোস্ট, দক্ষিণ সুদান মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের (Formed Police Unit এবং UNPOL) কমান্ডারসহ অন্যান্য সদস্যের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন।
পুলিশ প্রধান মিশন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক, লজিস্টিকস, ওয়েলফেয়ারসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করায় তিনি বাংলাদেশ পুলিশের দুটি নারী (Formed Police Unit) ইউনিটের এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আন্তরিক ভাবে সচেষ্ট থাকার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
আইজিপি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের সুমহান আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বিগত দিনে শান্তিরক্ষায় আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ভিডিও টেলিকনফারেন্সের সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,বর্তমানে দারফুর, হাইতি, কঙ্গো, মালি, আইভরিকোস্ট, দক্ষিণ সুদান, লাইবেরিয়া এবং সোমালিয়ায় শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ১৬৩ জন নারী সদস্যসহ এক হাজার ১৪৩ জন পেশাদারিত্ব ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। নামিবিয়া মিশনের মধ্য দিয়ে ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের পদযাত্রা শুরু হয়। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ১৬ হাজার ৭৮০ জন সদস্য বিভিন্ন মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জীবন উৎসর্গ করেছেন ২০ জন বীর পুলিশ সদস্য।
সূত্র: ডিএমপি