ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন রাজবাড়ীতে মাদকদ্রব্যর অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ও আলোচনা সভা রাজবাড়ীতে ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মোজাম্মেল আটক রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প (ফেইজ-২) বাস্তবায়ন বিষয়ক সাধারণ সমন্বয় সভা সন্ধ্যার মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে হবে-প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী রামকান্তপুর ইউনিয়ন ও পৌর নবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোহেল রানা। ঈদুল ফিতর’ উপলক্ষে চন্দনী ইউনিয়বাসীর সুস্বাস্থ্য, সুখ-সমৃদ্ধি ও অনাবিল আনন্দ কামনা করে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-শাহিনুর পৌরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা মীর সজল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকেঈদের শুভেচ্ছা কাজী ইরাদত আলীর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ

বাংলাদেশের দিকে ফারাক্কায় গেট খুলে দেবে ভারত

  • রিপোর্টারের নাম
  • আপডেটের সময় : ১০:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৬
  • ৫২১ ভিউয়ের সময়

ভারতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য দেশটির পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ফারাক্কা বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দেবার নির্দেশ দিয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে ফারাক্কা বাঁধের গেটগুলো খুলে পানি ছেড়ে দিলে বিহার রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

ফারাক্কায় ১০৪টি গেট আছে। কর্মকর্তারা বলছেন এ গেটগুলো খুলে দিলে ১১ লাখ কিউসেক পানি সরে যাবে যাতে করে বিহারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

বিহার রাজ্যে গত এক সপ্তাহে ১০ লাখের বেশি মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র এবং যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের এ সময়টিকে ফারাক্কায় গেটগুলো খোলা থাকার কথা। নতুন করে গেট খুলে দেবার কিছু নেই বলে কর্মকর্তারা মনে করেন।

তারা বলছেন সাধারনত শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার জন্য এ গেটগুলো তৈরি করেছে ভারত। কিন্তু এখন নদীতে পানি প্রবাহ এমনিতেই বেশি থাকায় গেটগুলো বন্ধ থাকার কথা নয় বলে উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ১১ লাখ কিউসেক পানির প্রবাহ যদি বাংলাদেশের ভেতরে আসে তাহলে বাংলাদেশ অংশে পদ্মায় পানি বাড়বে কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হবে না।

যেহেতু এখন ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় পানি কমছে সেজন্য পদ্মার পানি বাড়লেও সেটি কোন বন্যা পরিস্থিতির তৈরি করবে না বলে মনে করেন কর্মকর্তারা।

ফারাক্কায় গেটগুলো খুলে দিলে বাংলাদেশে আবারো বন্যা পরিস্থিতির আশংকা থেকেই যাচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ খন্দকার জানিয়েছেন বাংলাদেশের ভেতরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ভেতর দিয়ে সবচেয়ে বেশি পানি প্রবাহিত হয়।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির কারণে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার মঙ্গলবার দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করার কথা রয়েছে।

বন্যার কারণে বিহার অঞ্চলে দুই লাখ মানুষের বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গত দু’সপ্তাহ ধরে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে বিহার ছাড়াও মধ্য প্রদেশ , উত্তর প্রদেশ, এবং ঝাড়খণ্ডেও বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। এসব এলাকায় নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সোমবার রাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বিহার এবং উত্তর প্রদেশে জরুরী সহায়তা দল পাঠানো হয়েছে।

খবর: বিবিসি বাংলা

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

Meraj Gazi

জনপ্রিয় পোস্ট

রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন

বাংলাদেশের দিকে ফারাক্কায় গেট খুলে দেবে ভারত

আপডেটের সময় : ১০:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৬

ভারতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য দেশটির পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ফারাক্কা বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দেবার নির্দেশ দিয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে ফারাক্কা বাঁধের গেটগুলো খুলে পানি ছেড়ে দিলে বিহার রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

ফারাক্কায় ১০৪টি গেট আছে। কর্মকর্তারা বলছেন এ গেটগুলো খুলে দিলে ১১ লাখ কিউসেক পানি সরে যাবে যাতে করে বিহারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

বিহার রাজ্যে গত এক সপ্তাহে ১০ লাখের বেশি মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র এবং যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের এ সময়টিকে ফারাক্কায় গেটগুলো খোলা থাকার কথা। নতুন করে গেট খুলে দেবার কিছু নেই বলে কর্মকর্তারা মনে করেন।

তারা বলছেন সাধারনত শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার জন্য এ গেটগুলো তৈরি করেছে ভারত। কিন্তু এখন নদীতে পানি প্রবাহ এমনিতেই বেশি থাকায় গেটগুলো বন্ধ থাকার কথা নয় বলে উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ১১ লাখ কিউসেক পানির প্রবাহ যদি বাংলাদেশের ভেতরে আসে তাহলে বাংলাদেশ অংশে পদ্মায় পানি বাড়বে কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হবে না।

যেহেতু এখন ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় পানি কমছে সেজন্য পদ্মার পানি বাড়লেও সেটি কোন বন্যা পরিস্থিতির তৈরি করবে না বলে মনে করেন কর্মকর্তারা।

ফারাক্কায় গেটগুলো খুলে দিলে বাংলাদেশে আবারো বন্যা পরিস্থিতির আশংকা থেকেই যাচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ খন্দকার জানিয়েছেন বাংলাদেশের ভেতরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ভেতর দিয়ে সবচেয়ে বেশি পানি প্রবাহিত হয়।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির কারণে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার মঙ্গলবার দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করার কথা রয়েছে।

বন্যার কারণে বিহার অঞ্চলে দুই লাখ মানুষের বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গত দু’সপ্তাহ ধরে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে বিহার ছাড়াও মধ্য প্রদেশ , উত্তর প্রদেশ, এবং ঝাড়খণ্ডেও বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। এসব এলাকায় নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সোমবার রাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বিহার এবং উত্তর প্রদেশে জরুরী সহায়তা দল পাঠানো হয়েছে।

খবর: বিবিসি বাংলা