দাদা দাদির প্রতি প্রত্যেকে নাতিদেরই থাকে অফুরন্ত ভালোবাসা। থাবেই না কেন..? কারণ এই সম্পর্ক হলো অনেক মধুর, যে সম্পর্ক জীবনের অনেক মানে খুজেঁ বের করে।করে তোলে আনন্দময় যারা ছোট বেলা থেকে দাদির ভালোবাসা পাইনি তারা কখনো বুঝবে না দাদির ভালোবাসা কতটা মধুর।কাজী রাকিবুল হোসেন শান্তনু র ভাগ্য ভালো তিনি দাদির ভালোবাসা পেয়েছেন। তাই তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক তার নিজ আইডিতে দাদির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এবার আসুন দেখে নেওয়া যাক, রাজবাড়ীর জেলা আওয়ামী লীগরে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর এক মাত্র ছেলে শান্তনু দাদির প্রতি কি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।
দাদির প্রতি শান্তনুর ভালোবাসঃ আমার দাদি বাগান করতে পছন্দ করতেন।কিন্তু আজ দাদি নেই শুধু বাগান রয়েগেছে! কিন্তু সেই সুভাষ আর পাইনা। কারন দাদির হাতের ছোয়া আর পরে এই বাগানে।তাইতো সব সুভাষ চলে গেছে দাদির চলে যাওয়াতে। আজও বাগানে আসলেই চোঁখের সামনে ভেষে উঠে দাদি বুঝি বাগানের মধ্যেই চলাফেরা করছে আর মালিকে বলছে এই ফুলগাছটাতে পানি দাও ঐ গাছটাতে পানি দাও।যদিও এটা আমার মনের কল্পনা কিন্তু দাদি থাকলে এমন করে বলতো হয়তো।
ছোট বেলায় যখন আমি মাঝে মাঝে বিকেলে আমাদের বাগানে যেতাম, দেখতাম দাদি লোকদেরকে বাগানের কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছে। আমি দাড়িয়ে বাগানের কাজ কিভাবে করে তা দেখতাম, তখন কখনও কখনও আমার দাদি বলতো, ‘আমি মারা গেলে আমাকে তোর দাদার কবরের পাশেই রেখে দিবি’। সেই ছোট্ট আমি তখন ‘মারা যাওয়ার’ গুরুত্ব বুঝতে পারতাম না বরং তাকিয়ে থাকতাম দাদির বাগানের রঙিন গোলাপগুলোর দিকে।
সেই বাগানে আমার দাদার পাশেই দাদি শুয়ে আছেন। আমাদের বাগানে এখনও অনেক ধরনের ফুল ধরে, কিন্তু সেই রঙিন গোলাপগুলো ধরে না।কিছু ভালোবাসা প্রকৃতি নিয়ে আসে আবার কিছু ভালোবাসা প্রকৃতিই নিয়ে যায়। মাগফিরাত শেষ হয়ে আজ নাজাতের ছয় দিন চলছে। সবাই আমার দাদি-দাদা সহ প্রতিটি মৃত মানুষের মাগফিরাত এবং নাজাতের জন্য দোয়া করবেন। দোয়া করবেন যেন সহজ হয় আমাদের পৃথিবী, কবর এবং আখিরাতের জীবন।
এই পৃথিবীতে আমরা সবাই মালী, যে যে গাছ রোপণ করবো তার হিসেবেই ফুল কিংবা ফল হবে।
‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লহু ওয়াল্লাহু আকবার’।
জাযাকাল্লাহু খাইরান!