আল আমিন, রাজবাড়ী টুডে: রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া যৌন পল্লী থেকে গাজীপুর ও চাঁদপুর জেলা থেকে নিখোঁজের ৫ বছর পর মোছা সীমা আক্তার (১৮) ও মোছাঃ তহুরা খাতুন (১৯) নামে দণন কিশোরীকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৮, সিপিসি-২, ফরিদপুর ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল।এ সময় বাড়িওয়ালী রেহেনা বেগম (৪০) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে র্যাব সদস্যরা।
গ্রেপ্তারকৃত রেহানা মাদারীপুর জেলার সদর থানার জালালপুর গ্রামের মৃত জয়নাল সরদারের মেয়ে।
মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র্যাব-৮, সিপিসি-২, ফরিদপুর ক্যাম্প কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ রইছ উদ্দিন সাংবাদিকদেও জানান,
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানাধীন দৌলতদিয়া পতিতালয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে গাজীপুর ও চাঁদপুর থেকে নিখোঁজের ৫ বছর পর মোছাঃ সীমা আক্তার(১৮) ও মোছাঃ তহুরা খাতুন(১৯) নামে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে র্যাব সদস্যরা। ঘটনার সাথে জরিত থাকায় দৌলতদিয়া যৌন পল্লীর ১নং গেইটস্থ বাড়ীর মালিক মোছাঃ রেহেনা বেগম(৪০) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, ভিকটিম মোছাঃ সীমা আক্তার(১৮)কে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে জনৈক মহিলা আনুমানিক ৫ বছর পূর্বে ২০ হাজার টাকায় দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে বিক্রী করে দেয়। অন্য দিকে ভিকটিম তহুরা খাতুনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে উজির নামক জনৈক ব্যক্তি আনুমানিক ৫ বছর পূর্বে ৮০ হাজার টাকায় দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে বিক্রী করে দেয়। সেখানে তাদেরকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক আটক রেখে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। উক্ত স্থান হতে পরিত্রান পেতে চাইলে তাদেরকে ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় শারীরিক নির্যাতন করা হয়। র্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর ক্যাম্প এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত নিখোঁজ ভিকটিমদ্বয়কে উদ্ধারে ব্যাপক অনুসন্ধান কার্যক্রম শেষে অদ্য ০১-০৮-১৭ইং তারিখ বেলা অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় দৌলতদিয়া পতিতা পল্লী হতে উদ্ধার করে। এ সময় বাড়ীর মালিক মোছাঃ হেলেনা বেগম কৌঁশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব তাকে ঘেরাও পূর্বক আটক করে।
উদ্ধারকৃত ভিকটিম এবং আটককৃত বাড়ীর মালিককে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।