বিশেষ প্রতিনিধি (রাজবাড়ী টুডে): ঈদের পর দিন বুধবার সকাল থেকেই যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে দৌলতদিয়ায়। ঘাট থেকে মডেল স্কুল পর্যন্ত দূরপাল্লার বাসের দীর্ঘ জটলা তৈরি হয় দুপুরের মধ্যেই।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানিয়েছে, ‘চারটি ঘাট সচল’ বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হলেও মূলত দুটি ঘাট চালু রয়েছে।
ঈদের দু’দিন আগে থেকেই ২ নম্বর ঘাটটি বন্ধ। ৩ নম্বরটিও থেকে থেকে বন্ধ করতে হচ্ছে। ১ ও ৪ নম্বর ঘাট দুটি দিয়েই মূলত ফেরি পারাপার করা হচ্ছে।
প্রতিটি ঘাটে তিনটি করে ‘পকেট'(ফেরি ওঠা-নামার পয়েন্ট) থাকলেও কার্যত একটি পকেট দিয়ে ফেরি ওঠা-নামার কাজ চলে। এতে করে ফেরিগুলো ওঠা-নামায় বেশি সময় লাগছে। যার প্রভাব পড়ছে দুই পাড়ে। দেখা দিচ্ছে যানজট।
সূত্র বলছে, এসব কারনেই ঘাটের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে অচলাবস্থা।
যদিও ঘাট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআইডব্লিউটিএ’সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন,’তীব্র স্রোতের কারনে ঘাট স্বাভাবিক করতে পারছেন না তারা। তবে চেষ্টাা করা হচ্ছে।’
সংস্থাটির দাবি, প্রতিবারই ঘাটের পল্টুন ঠিক করার পর আবারো স্রোতের কারনে নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। ফলে আবার অচল হয়ে যাচ্ছে সেই ঘাটটি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল রাজবাড়ী টুডে’কে বলেন, প্রতি বর্ষাতেই ঘাট এলাকার শত শত বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। কিন্তু স্থায়ী কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
এবিষয়ে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান রাজবাড়ী টুডে’কে জানিয়েছেন, দৌলতদিয়া ঘাটে ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে কাজ করা হচ্ছে। এবিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা হয়েছে। দ্রুতই নদী ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হবে বলে আশা করছেন শাজাহান খান।